হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার কর্মচারীদের টার্মিনালের অভ্যন্তরে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও তা কেউ মানছেন না। বিমানবন্দরে অপরাধের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে মোবাইল ফোন। ফলে নতুন করে আবারও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, স্বর্ণ চোরাচালান, আদম পাচার, চুরিসহ সব ধরনের অপকর্ম হয় এ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। সিভিল এভিয়েশন, এয়ারলাইন্সসহ বিমানবন্দরে কর্মরত সংস্থার কর্মচারীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাইরের অপরাধীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এতে বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি হুমকির মুখে পড়ে।
উদ্ভূত এমন পরিস্থিতি এড়াতে শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রথম মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয় ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টম্বর। তবে ওই আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে চলছে মোবাইল ফোনের ব্যবহার।
সম্প্রতি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন পরিচালক যোগদানের পর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অধিকতর উন্নয়নে আবারও মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ২৭ মে এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ (নথি নং-শাহজালাল/নিরাপত্তা/অফিস সার্কুলার/১৮/২৬৮২) জারি করা হয়। সিভিল এভিয়েশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালকের পক্ষে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা রাশিদা সুলতানা স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরে কর্মরত সকল সংস্থা ও শাখার কর্মচারীদের কর্মস্থলে মোবাইল ফোন এবং ব্যাগ নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ করে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছিল। তবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, পূর্বের অফিস আদেশ লঙ্ঘন করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ব্যাগ নিয়ে বিমানবন্দরের যত্রতত্র ঘোরাঘুরি করা হচ্ছে, যা নিরাপত্তা পরিপন্হী।
আদাশে আরও বলা হয়, তাই অদ্য হইতে (২৭ মে) কর্তব্যস্থলে যাতে কোনো কর্মচারী মোবাইল ফোন ব্যবহার না করতে পারেন, স্ব স্ব সংস্থা/শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণ তা নিশ্চিত করবেন। কোনো কর্মচারীকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখা গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা রাশিদা সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ আদেশ নতুন নয়। পুরাতন আদেশ না মানার প্রবণতা বাড়ায় জাস্ট রিমাইন্ডার দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দিতে আমরা যেকোনো পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব। এখানে ভিন্ন কিংবা সরল যুক্তি প্রদানের অবকাশ নেই। এবার আদেশ অমান্য করলে কঠোর হতে বাধ্য হব।’
শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল ফারুক জানান, নিরাপত্তা সবার আগে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদারে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।